অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ২৯ কর্মকর্তা ও ২৪ ঘণ্টার ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। ইরানে বিদেশি উস্কানিতে সৃষ্ট সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় কথিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইরানে মহিলা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত কিছু দিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।অন্যদিকে ইরানের যেসব শত্রু এদেশের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায় তারা এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মাধ্যমে তেহরান সরকারের পতন ঘটানোর আশায় দাঙ্গাবাজদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
ইইউ সোমবার ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দাবি করেছে, কথিত বিক্ষোভকারীদের ‘সহিংস উপায়ে দমনে’ এসব প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার শিকার কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি, আমিনিকে গ্রেফতারকারী চার পুলিশ সদস্য এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির পদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা।এছাড়া, প্রেস টিভির বিরুদ্ধে সহিংসতার সময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে কথিত ‘জবরদস্তিমূলক স্বীকারোক্তি’ আদায়ের খবর প্রচার করার অভিযোগ এনেছে ইইউ।
তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো তাদের মতো করে বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহকে একচেটিয়াভাবে প্রচারের যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে তার বিপরীত ধারা সৃষ্টি করার অপরাধে প্রেস টিভির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। এছাড়া, ইরানের সাম্প্রতিক সহিংসতার ব্যাপারে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো যে ভুয়া ও অসত্য তথ্য প্রচার করে আসছিল তার স্বরূপ উন্মোচন করে যাচ্ছিল প্রেস টিভি।
এর আগে গতমাসে ইইউ ইরানের ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এর জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি হলে তেহরান পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবে।
Leave a Reply